অমরত্বের রহস্য যে জায়গায় লুকিয়ে আছে

আজ আমি আপনাদের সামনে আরো একটি ইন্টারেস্টিং টপিক এর ওপর আর্টিকেল লিখেছি। আজকের টপিকটি অনেকটাই ভিত্তি করে পৌরাণিক তত্ব ও প্রচলিত কিংবদন্তির ওপরে। আমাদের জগৎ রহস্যে ভরা এই কথা হয়তো আপনারা মানবেন। জগতের খুব রহস্যই আধুনিক বিজ্ঞান উদ্ঘাটন করতে পেরেছে।

বেশিরভাগ রহস্যই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই জগতের আরো একটি রহস্য হলো অমরত্ব। আমাদের জগতেই এমন একটি জায়গা অবস্থিত যা সমগ্র জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন, এক রহস্য নগরী। যার সবথেকে বড়ো রহস্য হলো এই নগরের অধিবাসী অমর। এখানে যারা পৌঁছাতে পারে তারা সবাই অমর হয়ে যায়।

অমরত্বের রহস্য যে জায়গায় লুকিয়ে আছে

আপনি হতো ভাবছেন তাহলে আর দেরি কি? বেরিয়ে পড়া যাক ব্যাগ গুছিয়ে? কিন্তু বেরিয়ে পড়ার আগে ভিডিওটি আপনাকে পুরো দেখতে হবে। আমরা যে জায়গাটির নাম সিদ্ধাশ্রম বা যার পরিচিত নাম জ্ঞানগঞ্জ। এটি একটি রহস্যপুরি বা আশ্রম যা শুধুমাত্র কিছু বিশেষ ব্যক্তিদের জন্যে। পৌরাণিক তত্ব অনুযায়ী এই জায়গাটির অবস্থান হিমালয়ের কোনো গোপন জায়গায় যা মানস সরোবরের কাছাকাছি।

অমরত্বের রহস্য

এই জায়গাটির অধিবাসী কিছু মহান সাধু সন্ন্যাসী যোগী তপস্বীরাই। বিভিন্ন ধর্মের যোগীরা তাদের বিশ্বাস ও প্রথা অনুযায়ী সেখানে সাধনা করে থাকেন। অথবা এভাবেও বলা যায় সিদ্ধাশ্রম বা জ্ঞানগঞ্জ এমন কিছু সাধকদের সমাজ যারা সাধনার একটি উচ্চতর পর্যায় অতিক্রম করেছেন। শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে এই জায়গাটিকে উপলব্ধি করার সম্ভব।

সামনে এগিয়ে যেতে আইনস্টাইনের ১২টি উক্তি

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ পরমহংস যিনি একজন হিন্দু ধর্মগুরু ও সন্ন্যাসী ছিলেন তিনি সর্বপ্রথম এর ব্যাপারে জনসমক্ষে বলেছিলেন। এই জায়গাটি তিব্বতিদের কাছে সম্ভালা নামে পরিচিত। জায়গাটির উল্লেখ বিভিন্ন প্রাচীন পুঁথিপত্র, পুরান ও বেদ এ রয়েছে। এই জায়গাটির উল্লেখ রামায়ণ ও মহাভারত ও রয়েছে। এগুলি রচনা করা হয়েছিল হাজার হাজার বছর আগে।

শিষ্যদের মধ্যে কালচক্র

বৌদ্ধ মতবাদ অনুযায়ী ভগবান বুদ্ধ দক্ষিণ ভারতে তার শিষ্যদের মধ্যে কালচক্র তত্বের জ্ঞান প্রদান করেছিলেন। রাজা সুচন্দ্র ছিলেন তার শিষ্যদের মধ্যে অন্যতম। তিনি সমস্ত জ্ঞান নথিভুক্ত করেন ও তা নিয়ে নিজের রাজ্য সম্ভালাতে ফিরে যান। বর্তমান সময়ে এই জ্ঞানগঞ্জের ওপরে অনেকগুলি বইয়ের রচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হলো ব্রিটিশ লেখক James Hilton এর লেখা The Lost Horizon এই বইটির ওপরে ১৯৩৭ সালে ফিল্ম ডিরেক্টর Frank Capra একটি ফিল্মের নির্মাণ করেন।

কোন কাজে যদি আপনি ১০০% দিতে পারেন তাহলে সফল হবেন

অমরত্বের তত্বকে আধুনিক বিজ্ঞান অনেকটাই স্বীকার করে। বিভিন্ন দেশ যেমন, আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা মনে করেন মৃত্যু মোটেও অনিবার্য নয়। বিশেষ মেডিকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হরমোন ও মেটাবলিসম নিয়ন্ত্রণ করে মানুষ নিজের বার্ধক্যকে থামিয়ে দিতে পারে। এর মাধ্যমে মানুষ ১০০০ বছরের বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে।

সন্ন্যাসীরা যোগ সাধনার মাধ্যমে

প্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এরকম উল্লেখ রয়েছে। মনে করা হয় যে এই সাধক ও সন্ন্যাসীরা যোগ সাধনার মাধ্যমে নিজেদের শরীরে এই পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা যে জায়গাটির ব্যাপারে কথা বলছি এই জায়গাটির অস্তিত্ব কোনো আধুনিক স্যাটেলাইট বা ম্যাপিং সিস্টেম এর দ্বারা সম্ভব নয়।

ধৈর্য নয়, বরং নিজের অভ্যাস ও নিজে বদলে যান

আমাদের ওপরে নজর রাখছে ভিনগ্রহের উপগ্রহ

প্রবল ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ছুটতে হবে স্বপ্নের পিছুপিছু এ পি জে আব্দুল কালাম

এতক্ষনে হয়তো জায়গাটিতে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ অনেকটা হারিয়ে ফেলেছিলেন। তবুও আমি আপনাদের আশা দিচ্ছি। এই জায়গায় যাওয়া সম্ভব শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক সাধনা ও তপস্বার মাধ্যমে যা একটি উচ্চতর পর্যায় অতিক্রম করার পর হতে পারে। জায়গাটি পূর্ব, পশ্চিম বা কোনো দেশের অন্তর্গত নয় কারণ জ্ঞান, দর্শন, আধ্যাত্মিক সাধনা কোনো গন্ডির দ্বারা আটকে থাকে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *