বিশ্বের শ্বাসরুদ্ধকর কিছু রেলপথ, যার প্রতিটি ভ্রমন ভয়ংকর

বিশ্বের ভয়ংকর কিছু রেলপথ, যার প্রতিটি ভ্রমন শ্বাসরুদ্ধকর। রেল ভ্রমণ বেশিরভাগ মানুষের কাছে জনপ্রিয় কারন এটি কম ঝুঁকিপূর্ণ আর তাই মোটামুটি সব দেশেই রেলপথ চালু আছে। যাত্রী হোক কিংবা পণ্য- সব ধরণের পরিবহনেই রেলযোগের কোনো বিকল্প হয়না।

কিন্তু বিশ্বে এমন কিছু দুর্গম রেলপথ আছে, যা দেখলে চোখ কপালে উঠে যাবে। যার প্রতিটি ভ্রমন হবে শ্বাসরুদ্ধকর। আজ আপনার সাথে শেয়ার করবো বিশ্বের এমনই ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভয়ংকর কিছু রেলপথ। ত্রেন আ লাস নুবস, আর্জেন্টিনা, আর্জেন্টিনার এই রেলপথটি অত্যন্ত আকাবকা আর সর্পিলাকার পথ দিয়ে গেছে তেমনি এর পথিমধ্যে পড়েছে ২১টি টানেল আর ১৩টি ব্রিজম।

বিশ্বের শ্বাসরুদ্ধকর কিছু রেলপথ, যার প্রতিটি ভ্রমন ভয়ংকর

যা এর যাত্রীদের মাঝে ভয়ের শিহরণ ফেলতে বাধ্য করে। তাছাড়া ১৩,৮০০ ফুট উঁচুতে এই রেলপথে সফর করার সময় নীচে তাকালে মৃত্যু ভয় যে কাউকে পেয়ে বসতে পারে। তাতে কোন সন্দেহ নেই, এই লুবেস রেললাইনটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল ২৭ বছর।

ভয়ঙ্কর এই রেললাইনটি টেররাইন পাহাড় ঘেষে গেছে, নীচ থেকে দেখলে মনে হয় রেল রাস্তাটি মেঘের উপর দিয়ে গেছে। হোয়াইট পাস এবং য়ুকোন রুট, আলাস্কা। আলাস্কার ভয়ংকর হোয়াইট পাস ও য়ুকুন রুটে রেল যাত্রাও অত্যন্ত ভয়ংকর। তিন হাজার ফুট উঁচুতে ১৮.৬ মাইলের একটি স্টিলের ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচল করে ট্রেন।

বিশ্বের ভয়ংকর কিছু রেলপথ

এটি ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতম কান্টিলিভার ব্রিজ ছিল। ১৮৯৮ সালে লন্ডিকে গোল্ড রাশ থেকে গোল্ডফিল্ডস পর্যন্ত পাড়ি দিতে তৈরি করা হয়। ভয়ংকর এই রেলপথ ১৯০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই পথে নিয়মিত যাতায়াত করছে ট্রেন।

সুইজারল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে সরু কগহুইল রেলওয়ে

পিলাটাস রেলওয়ে, সুইজারল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে সরু কগহুইল রেলওয়ে রয়েছে সুইজারল্যান্ডে পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় এই রেলপথে যাত্রা করলে প্রাণ হাতে নিয়ে থাকতে হবে সন্দেহ নেই এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭ হাজার ফুট উপরে অবস্থিত।

আসো মিনামি রুট, জাপান পাহাড় আর বনের মাঝ দিয়ে যাওয়া এই রেলপথ দিয়ে যেতে হলে সাহসী হওয়া চাই। এই রেলপথটি ঠিক সেই অঞ্চলে অবস্থিত যার আশে পাশে রয়েছে জাপানের সবচেয়ে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি গুলো। তাই এই পথে চলতে চাইলে মৃত্যুকে যে কোন সময় আলিঙ্গন করার সাহস থাকতে হবে।

রহস্যজনক কিছু বিমান দুর্ঘটনা যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়

কুরান্ডা রেইললাইন, অস্ট্রেলিয়া কুরান্ডা রেললাইন খুবই ভয়ঙ্কর রাস্তা এটি একটি দর্শনীয় বনের মধ্যে দিয়ে গেছে এবং তার পাশে আসে জর্জ ন্যাশনাল পার্ক এর পাশে আছে ঝরনা মাঝেমাঝে ঝরনার পানি এসে পড়ে ট্রেনের ভিতর।

বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম রেলপথের মধ্যে অন্যতম অস্ট্রেলিয়ার এই কুরান্দা রেলওয়ে। ১৮৮২ সালে খনির কাজে সুবিধার জন্য এর নির্মাণ শুরু হয়। বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে এই রেলপথ নির্মাণকাজের সময়ে।

বার্মা রেলওয়ে বা ডেথ রেলওয়ে, থাইল্যান্ড বার্মা রেলওয়ে মৃত্যুফাঁদ বলেও পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জাপানের সম্রাটরা এই রেলওয়ে তৈরি করেন। ২৫৮ মাইল লম্বা এই রেলওয়ে তৈরি করতে গিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্র উনিশ শতকের শেষের দিকে

জর্জটাউন লুপ রেলরোড, কলোরাডো, যুক্তরাষ্ট্র উনিশ শতকের শেষের দিকে কলোরাডোর উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সিলভার খনিতে কাজ করা শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয়। জর্জটাউন লুপ রেলরোড এই পথে তখন বাষ্পীয় ইঞ্জিন চালিত ট্রেন চলতো।

ভারতবর্ষের সবথেকে বেশি ভয়ানক ভৌতিক এলাকার রহস্য

তবে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে যাত্রাপথে শয়তানের ব্রিজ নামের ১০০ ফুট উঁচু এমনএকটি ব্রিজ পার হতে হয়। ওই ব্রিজের উপর ট্রেনের গতি এতটাই কম থাকে যে মনে হয় ব্রিজটি আর ট্রেন টির ভার বহন করতে পারছে না। কোন রকমে ঝুলে আছে আর এখুনি পড়ে যাবে।

বিশ্বের ভয়ংকর কিছু রেলপথ

নারিজ দেল দায়াবলো, ইকুয়েডর ইকুয়েডরে রয়েছে দ্য নারিজ দেল দায়াবলো রেলপথ। এই রেলপথ অত্যন্ত দুর্গম, তা তৈরি করা শুরু হয় ১৮৯৯ সালে। রেলপথ তৈরি করতে গিয়ে বহু মানুষ প্রাণ হারান। এর সর্বোচ্চ উচ্চতা ১১ হাজার ৮৪১ ফুট।

ইন্টারনেটের অন্ধকার জগৎ ডার্ক ওয়েব ও ডিপ ওয়েব

ভয়ংকরতম রেলপথের মধ্যে এটি অন্যতম আউতেনকুয়া চু জোয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার এই রেলপথটি প্রথম যখন তৈরি হয় তখন প্রথম যাত্রাতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এর উপর দিয়ে যাওয়া ট্রেনটি রেল লাইনের উপরে পড়ে থাকা একটি কাঠের টুকরোর কারনে ঘটে এই দুর্ঘটনা।

যদিও আজকের দিনে এই রুট অনেক নিরাপদ তবুও যখন কোন ট্রেন কাইমান্স ব্রিজ এর উপর দিয়ে যায় তখন আপনিও বাতাস থেকে ঘন ঘন অক্সিজেন টেনে নিতে বাধ্য হবেন, আর ভয়তো লাগবেই।

পাম্বান সেতু, ভারত ভারতের চেন্নাই-রামেশ্বরমে পাম্বান সেতু ৬ হাজার ৭৭৬ ফুট দীর্ঘ সমুদ্রের ওপর তৈরি এই সেতু দিয়ে ভারতীয় ট্রেনগুলো যাত্রা করে থাকে। ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এই এলাকায় প্রচণ্ড জোরে বাতাস বয় যার ফলে মাঝে মাঝেই ট্রেন চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *