২০২০ সালের চেয়েও খারাপ হতে পারে ২০২১ সাল

২০২০ সাল যেন সাধারণ মানুষের জীবনে অভিশাপ বয়ে এনেছে। বিশ্বব্যাপী মহামারীর প্রকোপে জীবন অতিষ্ঠ সারা পৃথিবীর মানুষের। ৩ থেকে ৪ মাস লকডাউন একদিকে যেমন মানুষকে ঘরবন্দি করে ফেলেছিলো আর অন্যদিকে সবাইকে অসন্ত্রস্ত করে রেখেছে করোনা ভাইরাসের মতো এক অদৃশ্য শত্রুর ভয়।

২০২১ সাল আরো খারাপ হতে চলেছে

এই মহামারী যেমন কোটি, কোটি মানুষকে অসুস্থ করেছে, তেমনি কেড়ে নিয়েছে লক্ষ্য, লক্ষ্য তাজা প্রাণ। এখনো সাধারণ মানুষের কাছে উপলব্ধ হয়নি এর কোনো ভ্যাকসিন। এছাড়াও প্রতিনিয়ত শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে আরো নতুন কিছু ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বার খবর।

সাধারণ মানুষের জীবনে এই বছরে দুঃসংবাদ যেন সর্বক্ষণের সঙ্গী। খুব কমই হয়তো সুসংবাদ শোনা যাচ্ছে। এসবের মধ্যেই ২০২১ সাল শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে আরো একটি বড় বিপদের ঘন্টা। অশনি সংকেত এসে গিয়েছে আরো একটি অতিমারীর যার নাম দুর্ভিক্ষ।

স্মার্টফোনের ইতিহাস আর উদ্ভাবনে স্টিভ জবসের অবদান

আগামী বছর বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের(World Food Program) প্রধান ডেভিড বিসলি। তাঁর দাবি, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং কোভিড ১৯ মহামারীর সংবাদের শিরোনাম দখল করে রাখার ফলে বিশ্ব খাদ্য সংকটের বিষয়ে এই মুহূর্তে সচেতনতার অভাব রয়েছে।

তিনি আরো জানিয়েছেন, আগামী বছরে পৃথিবী এক বিশাল দুর্ভিক্ষ মহামারীর সম্মুখীন হতে চলেছে। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে আর কয়েক মাসের মধ্যে একই সঙ্গে একাধিক দুর্ভিক্ষ আঘাত হানবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। পাশাপাশি, ২০২০ সালে যা অর্থ পাওয়া গিয়েছিল, ২০২১ সালে তা মিলবে না বলেও সতর্ক করেছেন বিসলি।

২০২০ সালের চেয়েও খারাপ হতে পারে ২০২১ সাল

এ কারণে নোবেল কমিটির সঙ্গে বিশ্বনেতাদের ভার্চুয়াল ও প্রত্যক্ষ আলোচনা এবং বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্টে ভাষণ এবং আলোচনার মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের আগামী ১২-১৮ মাসের মধ্যে সম্ভাব্য দুর্বিপাকের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প। তার মতে, ২০২১ সালে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ এড়াতে ১৫০ কোটি ডলার প্রয়োজন বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের।

তার হিসাবে, প্রকল্পের তহবিলে মজুত অর্থের সঙ্গে আরও কিছু অর্থ যুক্ত হলে বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ রোধ করা সম্ভব হবে। অক্টোবরে ডাব্লুএফপি এবং মার্কিন খাদ্য ও কৃষি সংস্থার যৌথ বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০ টি দেশ আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে তীব্র খাদ্য সংকটের শীর্ষে পৌঁছাতে পারে এবং এর জন্য অতিরিক্ত নজরদারি প্রয়োজন।

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পেছনের গল্প জো বাইডেন

এই দেশগুলির মধ্যে ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়া এবং বুর্কিনা ফাসো এমন কয়েকটি অঞ্চল রয়েছে যা বছরের পর বছর সংঘাত বা যুদ্ধের কারণে খাদ্য সঙ্কটের চরমে পৌঁছতে চলেছে, এবং আগামী মাসগুলিতে আরও অবনতি দেশগুলিকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

তাদের মতে আরো যে অন্যান্য দেশগুলিতে অতিরিক্ত নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে সেগুলি হলো আফগানিস্তান, ক্যামেরুন, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, হাইতি, লেবানন, মালি, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালি, সুদান, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা, জিম্বাবুয়ে। তথ্যটি ভালো লাগলে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *