রহস্যে ভরা জগৎ এর কিছু রহস্যময় ঘটনা

সাবটাইটেল ব্রোতে আপনাদের স্বাগত। আপনারা তো মানবেন যে এই রহস্যে ভরা জগৎ এর বহু রহস্যই আজও উন্মোচন করতে পারেনি মানবজাতি। এর অর্থ যে এই রহস্যগুলির সম্পূর্ণরূপে বৈজ্ঞানিক বা তাৎপর্যপূর্ণ যথাযথ ব্যাখ্যা এখনো সঠিকভাবে বিজ্ঞানীমহল বা বিশেষজ্ঞমহল করে উঠতে পারেনি।

আজ আপনাদেরকে আমি এরকমই পাঁচটি রহস্যের ব্যাপারে জানাতে চলেছি। নাজকা মরুভূমি, পেরু। এখানে এই আকৃতি গুলি খেয়াল করেছেন ছবিতে? নিখুঁতভাবে জ্যামিতিক আকৃতি। দেখে প্রত্যেকটিকেই কিছু অর্থপূর্ণ ছবি বলেই মনে হয়। কোনটি পাখি, অথবা মাছ , অথবা মাকড়সা এরকম বিভিন্ন আকৃতি। তাহলে জেনে নিন, এই ছবিগুলির বিস্তৃতি ৪০০ মিটার থেকে ১১০০ মিটার অর্থাৎ ১ কিলোমিটার এর বেশি।

রহস্যে ভরা জগৎ এর কিছু রহস্যময় ঘটনা

গবেষকদের মতে এই বিশালাকৃতি ছবিগুলি তৈরী করা হয়েছিল মাটিতে খোদাই করে আনুমানিক দেড় থেকে আড়াই হাজার বছর আগে| কিন্তু ঠিক কি কারণে ও কি পদ্ধতিতে মরুভূমিতে এই আকৃতিগুলি বানানো হয়েছিল সেটা এখনো সঠিকভাবে বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।

২০১২ সালে আফগানিস্তান এর কোনো এক মরুভূমিতে গুহার ভেতরে আমেরিকার সৈন্যদল একটি অবাক করা জিনিসের সন্ধান পায়। এটি ছিল একটি ৫০০০ বছর পুরোনো বিমান। এই বিমানটি হুবহু সেইরকমই ছিল যেরকম মহাভারতে বা রামায়ণের মতো মহাকাব্য গ্রন্থগুলিতে উল্লেখ করা আছে। এই তথ্যগুলি আংশিকভাবে বাইরে বেরিয়ে পরে ও ইন্টারনেটের দুনিয়াতে আলোড়ন ফেলে দেয়।

কলকাতায় অবস্থিত খুব ভয়ানোক ভুতুড়ে এক স্থান

এরকম কিছু তথ্যও সামনে আসে যে মার্কিন সৈন্যরা এই গুহাটি খুঁজে বের করেছিল সেই ৮ জনের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আটলান্টিক মহাসাগরে পুয়ের্তো রিকো, মিয়ামি ও বারমুডার মধ্যে অবস্থিত এই ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চলটি বহু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে প্রায় ৮০০০ মানুষ এই অঞ্চলে নিখোঁজ হয়েছে। সঠিক তথ্য না থাকলেও প্রায় ৫০ টি জাহাজ ও ২০ টি বিমান এই অঞ্চলে নিখোঁজ হয়ে গেছে। বহু দশক ধরে বারমুডা ট্রায়াঙ্গল নিয়ে বহু রহস্য বিষয়ক লেখালেখি, বই ও ফিল্ম তৈরী হয়েছে।

অদ্ভুত রঙিন চিত্র

বিজ্ঞানীরা এর রহস্য উন্মোচন করার জন্য বহু তত্ব পেশ করেছেন যেমন, চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের দুর্বল হয়ে পড়া, অথবা সমুদ্রের তলা থেকে মিথেন গ্যাস এর বিশাল আকৃতির বুদবুদ সৃষ্টি হওয়া ইত্যাদি। কিন্তু এর মধ্যে কোনোটাই সম্পূর্ণ সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে সক্ষম নয়। আমেরিকার একজন পুরোনো বই ব্যবসায়ী উইলফ্রিড এম ভয়েনিচ ১৯২২ সালে একটি ২৪০ পাতার বই পেয়েছিলেন যা কিনা কোন সম্পূর্ণ অজানা ভাষায় রচিত|

রহস্যজনক কিছু বিমান দুর্ঘটনা যার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়

এই বইয়ের মধ্যে রয়েছে অনেক অদ্ভুত রঙিন চিত্র। এগুলি কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ সমূহের যা পরিচিত কোনো জগতের সাথে মেলানো যায়না। তবে কার্বন ডেটিং প্রমাণিত হয়েছে যে বইটি পঞ্চদশ শতাব্দীতে রচিত। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় বই বলে মানা হয়। কৈলাশ পর্বত। চিনের তিব্বতে অবস্থিত এই পর্বতটির উচ্চতা ৬৬৩৮ মিটার। বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অন্যতম সবথেকে পবিত্র স্থান হলো এই পর্বত। পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট এর থেকে প্রায় ২০০০ মিটার উচ্চতা কম হলেও এর শিখরে আজ অবধি কেউ পৌঁছাতে পারেনি।

অতীতে বহুবার দুঃসাহসিক পর্বতারোহীরা এই শৃঙ্গ জয় করার চেষ্টা করলেও বারবার ব্যর্থ হয়েছে। কোনো রহস্যজনক কারণে হয় তারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে অথবা তারা নিখোঁজ হয়েছে। আপনাদের কি জানা আছে? কৈলাশ পর্বতের রহস্য ভেদ করবার জন্যে আজও বহু বিজ্ঞানী গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। বহু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করে কৈলাশ পর্বত হলো পৃথিবীর কেন্দ্র। এর অবস্থান সুমেরু থেকে ঠিক ৬৬৬৬ কিলোমিটার ও কুমেরু থেকে ঠিক ১৩৩৩২ কিলোমিটার দূরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *