অজানা অচেনা এক দেশের মায়াবি এবং রহস্যময় এক যাত্রী

আশা করি আপনারা ভালোই আছেন। আজ আপনাদের সামনে আরেকটি খুব রহস্যজনক ঘটনার সম্পর্কে আর্টিকেল নিয়ে এসেছি যা পড়ে আপনি অনন্দিত হবেন। আচ্ছা আপনারা স্কুলে ভূগোল ক্লাসে মানচিত্র প্রাকটিস করেছিলেন তো? রাজ্য, দেশ আর আন্তর্জাতিক? ঠিক আছে তো বলুন তো আমি এমন একটা দেশের নাম বলবো তার নাম কখনো শুনেছেন কিনা? দেশটির নাম হলো Taured (টর্ড)|

খুঁজে দেখুন তো মানচিত্রে? পেলেন না তো? চলুন তাহলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন| আমার আজকের গল্পের এই ঘটনাটি জাপানের| ১৯৫৪ সালে জুলাই মাসে জাপানের হানেডা বিমানবন্দর যা টোকিও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নাম পরিচিত সেখানে এক ব্যক্তি এসে পৌঁছালেন|

অচেনা দেশের মায়াবি এক যাত্রী

পোশাক দেখে যা বোঝা যায় উনি নিয়মিত যাত্রী| কর্তব্যরত অফিসারকে নিজের পাসপোর্ট দেখালেন| এরপর অফিসারের মনে সন্দেহ হতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন| ব্যক্তিটি ফ্রেঞ্চ হলেও উনি জাপানীস ও অন্যান্য ভাষাতেও দক্ষ| সন্দেহের কারণ ওনার পাসপোর্ট এ যে দেশের নাম লেখা তা হলো TAURED (টর্ড)|

অচেনা দেশের মায়াবী এক যাত্রী

এরকম কোনো দেশের নাম অফিসার ও তার অন্যান্য সহকর্মীরা কখনোই শোনেননি| অথচ ব্যক্তির পাসপোর্টে যথারীতি অনেকগুলি দেশে যাওয়ার রেকর্ড বর্তমান| অন্যান্য সমস্ত ডকুমেন্ট যথারীতি সম্পূর্ণ বৈধ| Immigration অফিসার ও বিমানবন্দর অথরিটি র কিছু অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছালেন|

চীনের বিজ্ঞানী দ্বারা তৈরিকৃত ‘কৃত্রিম সূর্যের’ ব্যবহার ও তৈরির ইতিহাস

ব্যক্তিকে বলা হলো যে আপনি মানচিত্রে দেখান দেশটির স্থান| মানচিত্রে যথারীতি দেখালেন ফ্রান্স ও স্পেন এর মাঝে যেখানে প্রিন্সিপালিটি অফ এ্যান্ডোরা বর্তমান| ব্যক্তি এই দেখে আরো ঘাবড়ে গেলেন যে হতেই পারেনা| এখানে তার দেশ TAURED (টর্ড) ই বর্তমান| উনি তর্ক করতে থাকেন যে সেই দেশটি এখানে ১০০০ বছর ধরে স্বাধীনভাবে বিদ্যমান|

অপরাধী সন্দেহে আটক

সেখানে অন্য নামের কোনো দেশ কি করে হতে পারে? পুলিশ ওনাকে অপরাধী সন্দেহে আটক করে ও তার সমস্ত ডকুমেন্ট ও পাসপোর্ট নিজেদের হেফাজতে নেয়| যেহেতু সেই ব্যক্তিকে বিমানবন্দর চত্বর থেকে বেরোতে দেওয়া যাবে না তাই বিমানবন্দর লাগোয়া একটি হোটেলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়| একটি ঘরে যেখান থেকে পালানো একেবারেই অসম্ভব সেখানে তাকে সেদিন রাখা হলো|

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পেছনের গল্প জো বাইডেন

দরজার বাইরে দুজন অফিসার প্রহরী হয়ে থাকলেন যাতে ঘর থেকে কেউ না বেরোতে পারে| সেদিন রাতে তাকে ডিনার ও দেওয়া হয়| পরেরদিন সকালে যখন ঘরে যাওয়া হয় তখন কেউ ওই ঘরে মজুত ছিল না ব্যক্তিটি সম্পূর্ণ উধাও| তার কোনো চিহ্নমাত্র নেই অথচ সেই ঘরটি থেকে পালাবার কোনো উপায় ছিল না ঘরটি বিলডিং এর অনেক উঁচুতলায় ছিল এবং একটি মাত্র গ্রিল দেওয়া জানালা ছিল যা কিনা রাস্তা থেকে অনেক উঁচু তে|

বিশেষজ্ঞরা ও বিজ্ঞানীদের মতে

আরো অবাক করা ব্যাপার যে যে পাসপোর্ট ও ডকুমেন্ট পুলিশের হেফাজতে ছিল সেগুলিও উধাও হয়ে যায় রহস্যজনক ভাবে| ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতে থাকে| বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্যারালাল ইউনিভার্স এর তত্ব জোরালো হতে থাকে| বিশেষজ্ঞরা ও বিজ্ঞানীদের মতে হতে পারে ব্যক্তিটি parallel universe থেকে দুর্ঘটনাক্রমে এই জগতে পৌঁছে গেছিলেন|

ওনার জগতের বাস্তবতায় ওনার পৃথিবী অনেকটা আমাদের মতো হলেও হয়তো ইতিহাস ও ভূগোলের সামান্য পরিবর্তন রয়েছে। এই ঘটনার ২৭ বছর পর ১৯৮১ সালে এরকম আরো অনেক প্যারালাল ইউনিভার্স বা অল্টারনেট ইউনিভার্স এর ঘটনা গুলি সম্বন্ধে প্রকাশিত হয় Directory of Possibilities বইটি| যার লেখক ছিলেন John Grant শুধুমাত্র এই ঘটনাটির ওপর আধার করে Brian W. Alaspa এর লেখা একটি বই প্রকাশিত হয়েছে|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *