সমস্যা যেনো পিছু ছাড়ে না। এমন পরিস্থিতি বেশ কষ্টের। তবুও হার মানতে নারাজ যারা তাদের উদ্দেশে কিছু কথা। হয়তো এই কথাগুলোই আপনাকে নতুন করে নতুন উদ্দামে পথ চলতে শেখাবে। যদি সৎ হয়ে থাকেন বিপদ আপনাকেই টানবে। তবে বিপদ কখনও বড় খাদে ফেলতে পারবে না।
ধৈর্য নয়, বরং নিজের অভ্যাস ও নিজে বদলে যান
এটাই বাস্তব, কারণ ভালো মানুষ আর যাই হোক, বিপদে পড়ে কখনও ব্যর্থ হয়না। ধৈর্য মহৎগুন। আল্লাহ তায়ালাও ধৈর্য্যকারীকে পছন্দ করেন। তাই প্রত্যেকের উচিত ধৈর্য্য ধরা। তবে ‘ধৈর্য নয়, বরং বদলে যান’ কথাটি শিরোনামে লেখা হয়েছে সেটা ভিন্ন ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেননা চারিপাশের মানুষগুলো যখন ঘিরে ধরে। কোনোভাবেই তাদের অকারণে বিভেদ সৃষ্টির গড়ে তোলা আটকাতে যখন সক্ষম হওয়া যায় না।
তখন হাজার চেষ্টা, মুখ বুঝে থাকা, ধৈর্য ধরা কোনো কিছুই কাজে আসে না। কারণ পৃথিবীতে যেমন ভালো মানুষ আছে, তেমন তাদের পথ রুখতে খারাপ মানুষেরও কমতি নেই। যারা নিজেরা কিছু করতে চাই না। তারা অন্যেকেও কিছু করতে দিতে চাইনা। এটাই সহজ সমীকরণ।আপনার মনে বিভেদের দেয়াল তুলেই তারা আাপনার পথ রুখতে চাই। তাদের কার্যকলাপ আপনার কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে, হীনমন্নতায় ভোগাবে।
জীবন যেখানে যেমন, পৃথিবী সেখানে তেমন
সহজ পথকেও কঠিন করে তুলবে। তাদের পাতা ফাঁদে পা রেখে মাঝে মাঝে মনে হতেই পারে নিজেই হয়তো খারাপ! এই ভাবনাটা কখনও মনেও আনা যাবে না। তাহলেই ফাঁদে আটকালেন। কারণ তাদের উদ্দেশ্য ছিলো সেটাই। মনে রাখবেন নিজেকে নিজের চেয়ে বেশি কেউ চেনে না।
মানুষ এমন একটা প্রাণী যারা
তবে নিজেকে অন্যের সামনে উপস্থাপনের দোষে অনেক সময় ভুগতে হয় শুধুমাত্র নিজেকে বেঠিক উপস্থাপনের ফলে যুগের পর যুগ খারাপ আচরণ সহ্য করতে হয়, যেটা একদমই মানানসই না। আপনি হয়তো সহজ, কিন্তু সবাই সেটা না। মানুষ এমন একটা প্রাণী যারা কর্তৃত্ব ফলাতে আগ্রহী এবং দুর্বলকে আঘাত করে বিশেষ মজা পায়। সুতরাং যুগের পর যুগ অন্যের অন্যায় সহ্য করার বোকামি না করে নিজেকে বদলে ফেলুন।
সামনে এগিয়ে যেতে আইনস্টাইনের ১২টি উক্তি
আপনার উপর আপনি কর্তৃত্ব খাটান, এই সুযোগটা অন্যের হাতে কখনও দেবেন না। ভালো মানুষ হয়ে, অন্যের কথা শুনবেন না। অতিরিক্ত ধৈর্য না ধরে নিজেকে বদলে ফেলুন। মনে রাখবেন অন্যকে বদলানোর ক্ষমতা আপনার হাতে নেই, কিন্তু নিজেকে বদলানোর ক্ষমতা আপনারই হাতে। তাই বলবো বদলে ফেলুন নিজেকে বদলে যাবে অন্যরাও।
নিজের কাছে নিজে যদি সৎ হয়ে থাকেন। অন্যের প্ররোচনায় পড়ে নিজেকে হীন মন্নতার কাঠগড়ায় কখনও দাড় করাবেন না। এতে নিজের কার্যক্ষমতা হ্রাস পাবে, এবং নিজেকে শুধু ছোটই মনে হবে। অভিভাবক অন্যকে না ভেবে নিজেকে নিজের অভিভাবক ভাবুন। তাতে কোনটা করা উচিত আর কোনটা করা উচিত না। তার সহজ সমাধান পাবেন।