সমুদ্রের একটি ডলফিনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা উচিত

হ্যালো বন্ধুরা সাবটাইটেল ব্রোতে আপনাদেরকে স্বাগত। আজ একটি সুন্দরআর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। আজকের আর্টিকেল একটি দারুন সুন্দর প্রাণীকে নিয়ে। যাকে আমরা সমুদ্রে মানুষের সবথেকে বড় বন্ধু বলেও জানি। তার নাম হলো ডলফিন।

বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণই করা উচিত

যারা মানুষের সাথে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এরা মানুষের কোনো ক্ষতি না করলেও যদি বিপদের আভাস পায় তো এরা আক্রমণাত্মক ও হতে পারে। তাই এদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণই করা উচিত। সম্প্রতি বিভিন্ন গবেষণায় এটা প্রমাণিত যে ডলফিন প্রাণিজগতে বুদ্ধির নিরিখে অনেক এগিয়ে। এরা খুবই বুদ্ধিমান প্রাণী। এরকমই এক ডলফিনের গল্প আজকের আর্টকেলের বিষয়বস্তু।

নিউজিল্যান্ডের কুক খাঁড়িতে একটি জলপথ আছে যেটা ওয়েলিংটন থেকে নেলসন যাবার জন্যে জাহাজগুলি ব্যবহার করতো। এই এলাকাতে একটি অঞ্চল খুবই বিপজ্জনক ও কুখ্যাত ছিল যার নাম ফ্রেঞ্চ পাস্। এই জায়গায় সমুদ্রে একটি ডলফিন ১৮৮৮ সাল থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াতো। সে ছিল এই এলাকাতে যাতায়াত করা জাহাজগুলির জন্যে পরম বন্ধু।

কারণ এই ডলফিনটি প্রত্যেকটি জাহাজকে সঠিক রাস্তা দেখিয়ে এই বিপজ্জনক সামুদ্রিক অঞ্চলটি পার করতে সাহায্য করতো ও জাহাজগুলিকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করত। ডলফিনটির নাম রাখা হয়েছিল পেলোরাস জ্যাক (Pelorus Jack)। এই নামটি কিভাবে উদ্ভব হলো তা জানা যায়না।

A book of the sea

তবে Breverton’s nautical curiosities : a book of the sea বইতে লেখা আছে সম্ভবত পেলোরাস (Pelorus) একটি যন্ত্র যা নাবিকরা দিকনির্ণয়ের কাজে ব্যবহার করতো তার নামেই এর নামকরণ হয়। ডলফিনটিকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিলো ১৮৮৮ সালে। জাহাজের কর্মীদল যদি ডলফিনটিকে না দেখতে পেত তো এর আসার জন্যে অপেক্ষা করতো। পেলোরাস জ্যাককে অনেকগুলি স্থানীয় সংবাদপত্রতে উল্লেখ করা হয়েছিল ও সেইসময় প্রাণীটির ব্যাপারে পত্রগুলিতে লেখালেখি হয়েছিল।

রহস্যে ভরা জগৎ এর কিছু রহস্যময় ঘটনা

পর্যটকদের বেশ একটি পছন্দের আকর্ষণও হয়ে উঠেছিল এই সামুদ্রিক প্রাণীটি । ১৯০৪ সালে SS Penguin নাম একটি জাহাজ থেকে কোনো ব্যক্তি রাইফেল দিয়ে প্রাণীটিকে গুলি করার চেষ্টা করে কিন্তু সে যাত্রায় প্রাণীটি বেঁচে যায়। সেবছরই ২৬শে সেপ্টেম্বর Sea Fisheries Act এর দ্বারা Order in Council এটিকে সুরক্ষা প্রদান করে। অবশ্য বিশ্বাসভঙ্গের জন্যে SS Penguin জাহাজটিকে ডলফিনটি আর কোনোদিন সাহায্য করেনি এবং ভেবে দেখার বিষয় ১২ ফেব্রূয়ারি ১৯০৯ সালে জাহাজটি এই কুক খাঁড়িতেই ডুবে যায়।

কলকাতায় অবস্থিত খুব ভয়ানোক ভুতুড়ে এক স্থান

এতে ৭৫ জন যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। মাত্র ৩০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ডলফিনটিকে শেষবারের মতো ১৯১২ সালের এপ্রিল মাসে দেখা যায়। প্রাণীটির অন্তর্ধান এর জন্যে বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে রয়েছে। ১৯৮৯ সাল থেকে, ওয়েলিংটন থেকে কুক স্ট্রেট হয়ে পিকটনের উদ্দেশ্যে আন্তঃ-দ্বীপ ফেরি পরিষেবা লোগোতে পেলোরাস জ্যাক এর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। তার নামে একটি চকোলেট বারও নামকরণ করা হয়েছিল এবং ২০১৬ সালে তার সম্মানে ফ্রেঞ্চ পাস এর কলিনেট পয়েন্টে একটি পূর্ণ অবয়বের ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য স্থাপিত হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *