কোন কাজে যদি আপনি ১০০% দিতে পারেন তাহলে সফল হবেন

আপনি যে কোন কাজে যদি ১০০% দিতে পারেন তাহলে আপনি সফল হবেন।“ আজ আমি আপনাদের সন্দ্বীপ মাহেশ্বরির Unstoppable Session থেকে একটি গল্প শেয়ার করবো গল্পটি হল, একটি গ্রামে দুইটি শিশু ছিল। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৬ বছর আর অন্যজনের ছিল ১০ বছর। তারা খুব ভাল বন্ধু ছিল সবসময় একসঙ্গে খেলত, একসঙ্গে গোসল করতো, একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করতো, কথাও বেড়াতে গেলেও একসঙ্গেই যেতো।

কোন কাজে যদি আপনি ১০০% দিতে পারেন তাহলে সফল হবেন

একদিন দুই বন্ধু গ্রাম থেকে একটু দূরে চলে গেলো বাচ্চা দুটো খেলতে খেলতে ১০ বছরের যে বাচ্চাটা কুয়ার মধ্যে পরে গেল। বাচ্চাটা জোরে জোরে চিৎকার করতে লাগলো কারন বাচ্চাটা সাঁতার জানতো না। তখন ওর ৬ বছর বয়সের বন্ধু সাহায্যের জন্য আশে পাশে লোক জন খুঁজতে লাগলো, কিন্তু কাউকে পেলনা সাহায্যের জন্য।

প্রবল ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ছুটতে হবে স্বপ্নের পিছুপিছু এ পি জে আব্দুল কালাম

তখন বাচ্চাটি দেখল কুয়ার পাশে দড়ি দিয়ে বাঁধা একটি বালতি, বাচ্চাটি এক সেকেন্ড লেট না করেই কুয়ার মধ্যে ফেলে দিলো আর ওর বন্ধুকে বলল শক্ত করে ধর। তার পর সেই ৬ বছরের বাচ্চাটি জোরে জোরে টানতে লাগলো শরিরের সর্ব শক্তি দিয়ে টানতে লাগলো, যতক্ষন না ওর বন্ধু উপরে উঠে আসে ওর জীবন চলে গেলও ছারতে রাজী না।

শেষ পর্যন্ত ৬ বছরের বাচ্চার প্রচেষ্টা সফল হলো। ৬ বছরের বাচ্চার প্রচেষ্টাই ১০ বছরের বাচ্চা বেঁচে গেলো। উপরে উঠে এসেই দুই বন্ধু এক হয়ে কোলাকুলি করতে লাগলো আর কান্না করতে লাগলো কিন্তু একদিক থেকে ওদের ভয় হতে লাগলো। ওরা ভাবল গ্রামে যাওয়ার পর সকলে যখন ঘটনাটা যান্তে পারবে যে, আমরা কুয়াতে পরে গেছিলাম, তখন সকলেই ধরে আমাআদের মারধোর করবে।

গ্রামে যাওয়ার পর ঘটনাটা হল ভিন্ন

কিন্তু গ্রামে যাওয়ার পর ঘটনাটা হল ভিন্ন। ওরা যখন গ্রামে গিয়ে ঘটনাটা বলল তখন কেঁউ তাঁদের কথা বিশ্বাস করল না। কারন ৬ বছরের বাচ্চা কীভাবে ১০ বছরের বাচ্চাকে ১ বালতি পানি সহ উপরে তুলতে পারে। ৬ বছরের বাচ্চার এতটুকু শক্তি নে যে ও ১ বালতি পানি উঠাতে পারে, আর মানুষ তো দুরের কথা।

ধৈর্য নয়, বরং নিজের অভ্যাস ও নিজে বদলে যান

কিন্তু এক ব্যাক্তি ছিল ঐ গ্রামে যে বিশ্বাস করেছিলো। উনাকে সবাই রশিদ চাচা বলে ডাকতো। উনি ছিলেন ঐ গ্রামের সব চেয়ে বুজুর্গ ব্যাক্তি। তখন গ্রামের সবাই বলাবলি করতে লাগলো আরে রশিদ চাচা তো কখনো মিথ্যা কথা বলবে না, রশিদ চাচা যেহুতু বলছেন সেহুতু অবশ্যয় কোন কারন আছে। তখন সবাই উনার কাছে গিয়ে যান্তে চায়লেন-আচ্ছা চাচা আমাদের তো কোন ভাবেই বিশ্বাস হচ্ছে না, আপনিই বলুন তো এটা কীভাবে সম্ভব?

তখন রশিদ চাচা হাসতে হাসতে বললেন- আরে আমি কি বলবো বাচ্চারা তো বলছেই, বালতি কুয়ার মধ্যে ফেলেছে, ওর বন্ধু বালতি ধরেছে আর ও টেনে উপরে তুলেছে। বাচ্চারা তো বলছেই এতে আমি আর কি বলবো? তখন সারা গ্রামের লোক রশিদ চাচার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।

ছোট্ট একটা বাচ্চার মধ্যে এতো হিম্মত

কিছুক্ষণ পর উনি বললেন- আরে প্রশ্ন এটা নয় যে এত ছোট বাচ্চা এটা কীভাবে করলো? প্রশ্ন এটা যে, এতো ছোট বাচ্চা এটা কেন করতে পারলো। এতো ছোট্ট একটা বাচ্চার মধ্যে এতো হিম্মত কোত্থেকে আসলো।

আমাদের ওপরে নজর রাখছে ভিনগ্রহের উপগ্রহ

আর তার পর উনি বললেন এর পেছনে একটাই কারন একটাই উত্তর, যে সময় ঐ বাচ্চা এই কাজটি করেছে ঐ সময় ঐখানে একটা মানুষও ছিলোনা বলার মত যে- তোর দ্বারাই সম্ভব না, তোকে দিয়ে কিছুই হবে না। যারা তাদের মন পরিবর্তন করতে পারে না তারা কিছুই পরিবর্তন করতে পারে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *